মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শাহজাদপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের ইন্তেকাল। কালের খবর গণহত্যায় উস্কানিদাতা জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ জনের সদস্যপদ স্থগিত আমাদের ঐক্য নষ্ট হলে পতিত স্বৈরাচাররা আবার ফিরে আসবে : কবি আব্দুল হাই শিকদার। কালের খবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪০ : কালের খবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। কালের খবর ফুলপুরে পৌর বিএনপির উদ্যোগে মতবিনিময়। কালের খবর রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে হাতের লেখা প্রতিযোগীতায় ১ম স্হান লালমনিরহাটের শিবরাম। কালের খবর এবার ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক সাদপন্থিদের। কালের খবর সাদপন্থিদের কাকরাইল মসজিদে বৃহৎ জামাতে জুমা আদায়। কালের খবর রায়পুরায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্্যালি। কালের খবর
টাকায় ঘোরে যশোর সদর হাসপাতালের ট্রলি ও হুইল চেয়ার। কালের খবর

টাকায় ঘোরে যশোর সদর হাসপাতালের ট্রলি ও হুইল চেয়ার। কালের খবর

যশোর প্রতিনিধি:

যশোরের মানুষের চিকিৎসা সেবার প্রধান সরকারি প্রতিষ্ঠান ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। এ হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে ২০ টাকার টিকিটে সেবার পর রোগীকে ওয়ার্ডে নিতে বিনা রশিদে স্বজনদের গুনতে হয় ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এসব টাকা যায় হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবীদের পকেটে। ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেতন দেয় না’ এই অজুহাতে রমরমা ট্রলি ও হুইল চেয়ার ভাড়া বাণিজ্যে মেতে উঠেছে তারা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, অতিরিক্ত রোগীর চাপ এবং জনবল সংকটের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, রোগীদের হাসপাতালের দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ তলার ওয়ার্ডে স্থানান্তরের জন্য জরুরি বিভাগে রয়েছে একাধিক ট্রেচার এবং হুইল চেয়ার। যে সেকল রোগী হাঁটতে পারবে না; তাদের প্রয়োজনে জরুরি বিভাগে এগুলো রাখা থাকে। তবে এ সকল হুইল চেয়ার বা ট্রেচারগুলোও থাকে জরুরি বিভাগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘোরাঘুরি করা স্বেচ্ছাসেবীদের দখলে।

রোগীদের ট্রেচার বা হুইল চেয়ারে করে উপরের তলায় উঠাতে গেলে তাদের সাথে করে নিতে হয় অর্থচুক্তি। অন্যথায় রোগী ট্রেচার ঠেলে উপরে উঠানোর কাজ করা লাগবে রোগীর স্বজনদের।

সাংবাদিক পরিচয় গোপন রেখে জরুরি বিভাগ থেকে ভর্তি হওয়া এক রোগীর পিছু নেয় এই প্রতিবেদক। দেখা যায়, জরুরি বিভাগ থেকে এক যুবক ওই রোগীকে ট্রেচারে উঠিয়ে তৃতীয় তলায় নিয়ে যায়। এরপর মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ভেতরে জায়গা না থাকায় ওয়ার্ডের বাহিরে মেঝেতে শুইয়ে দেয় ট্রলি ঠেলা ওই যুবক। পরে তাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা নিয়ে সটকে পড়ে।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, জরুরি বিভাগের মধ্যে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী ওত পেতে থাকেন ভর্তি রোগীর জন্য। তাদের প্রত্যেকের দখলে থাকে একটি করে হুইল চেয়ার অথবা ট্রেচার।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, স্বেচ্ছাসেবকদের বেতন দেয়া হয় না এটা সত্য। হাসপাতালের ট্রলি, হুইল চেয়ারে রোগী বহনের জন্য ২৬ জন ওয়ার্ডবয় রয়েছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com